সময়ের সাথে সাথে মানুষের সামনে হাজির হয় নতুন নতুন প্রযুক্তি। সেই সাথে
পুরোনো প্রযুক্তি বাতিলও হয়ে যায়। এর অনেক উদাহরণই রয়েছে। ওয়াকম্যানের
মতো এক সময়ের বিশ্বব্যাপী বিপুল জনপ্রিয় পণ্যও হারিয়ে গেছে বাজার থেকে।
হাজারো প্রযুক্তির মধ্যে আজ থেকে ২০ বছর আগে যাত্রা শুরু করে এসএমএস বা
শর্ট ম্যাসেজিং সার্ভিস বা সংক্ষিপ্ত বার্তা। ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর যাত্রা
শুরু করা এই সেবাটি গত ৩ ডিসেম্বর তারিখে ২০ বছর পেরিয়ে পা রেখেছে ২১-এ।
সময়ের হিসেবে বড় একটি সময় পার করলেও এখনও পর্যন্ত এসএমএস একটি জনপ্রিয় সেবা
বিশ্বজুড়ে।
এসএমএস কী?
এসএমএস কথাটির পূর্ণরূপ হচ্ছে শর্ট ম্যাসেজ সার্ভিস বা শর্ট ম্যাসেজিং সার্ভিস (short message/messaging service)। বাংলায় একে বলা যায় সংক্ষিপ্ত বার্তা সেবা। মোবাইল থেকে মোবাইলে কোনো বার্তা বা ম্যাসেজ টাইপ করে পাঠানোর যে সেবাটি এখন বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত, তার নামই এসএমএস।
গোড়ার কথা
১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম এসএমএসটি পাঠানো হলেও এর ধারণাটি অনেক আগের। মোবাইল এসএমএস-এর জনক হিসেবে যাকে অভিহিত করা হয়, তার নাম ম্যাট্রি ম্যাক্কোনেন। ফিনল্যান্ডের এই প্রকৌশলী নকিয়া, টেলি ফিনল্যান্ড, ফিনেট নামে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন ফিনল্যান্ডের টেলিকম ও পোস্টাল এজেন্সিতে এবং ওই সময়েই এসএমএস সার্ভিস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে ইউরোপিয়ান টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড ইনিশিয়েটিভ প্রথম ডিজিটাল প্যান-ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড জিএসএম বাজারে নিয়ে এলে এসএমএস নিয়ে জোর গতিতে কাজ শুরু হয়। তখন পর্যন্ত ভয়েসমেইল সম্পর্কে জানতে হলে ভয়েস-মেইল সেন্টারে ফোন দিতে হতো গ্রাহককে। ভয়েস মেইল আসা মাত্রই যেন গ্রাহকরা জানতে পারে, সেই তথ্য জানাতেই প্রথম এসএমএস পাঠানোর চিন্তা শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম টেক্সট ম্যাসেজটি প্রেরণ করেন নেইল পাপওয়ার্থ। ভোডাফোন তখন তাদের গ্রাহকদের জন্য এই সার্ভিসটি চালু করতে চাচ্ছিল। তারই পরীক্ষামূলক প্রস্তুতি হিসেবে পাঠানো এই ম্যাসেজে লেখা ছিল 'Merry Christmas'। পাপওয়ার্থ ম্যাসেজটি পাঠান ভোডাফোনেরই রিচার্ড জারভিসের কাছে।
এসএমএস কী?
এসএমএস কথাটির পূর্ণরূপ হচ্ছে শর্ট ম্যাসেজ সার্ভিস বা শর্ট ম্যাসেজিং সার্ভিস (short message/messaging service)। বাংলায় একে বলা যায় সংক্ষিপ্ত বার্তা সেবা। মোবাইল থেকে মোবাইলে কোনো বার্তা বা ম্যাসেজ টাইপ করে পাঠানোর যে সেবাটি এখন বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত, তার নামই এসএমএস।
গোড়ার কথা
১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম এসএমএসটি পাঠানো হলেও এর ধারণাটি অনেক আগের। মোবাইল এসএমএস-এর জনক হিসেবে যাকে অভিহিত করা হয়, তার নাম ম্যাট্রি ম্যাক্কোনেন। ফিনল্যান্ডের এই প্রকৌশলী নকিয়া, টেলি ফিনল্যান্ড, ফিনেট নামে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন ফিনল্যান্ডের টেলিকম ও পোস্টাল এজেন্সিতে এবং ওই সময়েই এসএমএস সার্ভিস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে ইউরোপিয়ান টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড ইনিশিয়েটিভ প্রথম ডিজিটাল প্যান-ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড জিএসএম বাজারে নিয়ে এলে এসএমএস নিয়ে জোর গতিতে কাজ শুরু হয়। তখন পর্যন্ত ভয়েসমেইল সম্পর্কে জানতে হলে ভয়েস-মেইল সেন্টারে ফোন দিতে হতো গ্রাহককে। ভয়েস মেইল আসা মাত্রই যেন গ্রাহকরা জানতে পারে, সেই তথ্য জানাতেই প্রথম এসএমএস পাঠানোর চিন্তা শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম টেক্সট ম্যাসেজটি প্রেরণ করেন নেইল পাপওয়ার্থ। ভোডাফোন তখন তাদের গ্রাহকদের জন্য এই সার্ভিসটি চালু করতে চাচ্ছিল। তারই পরীক্ষামূলক প্রস্তুতি হিসেবে পাঠানো এই ম্যাসেজে লেখা ছিল 'Merry Christmas'। পাপওয়ার্থ ম্যাসেজটি পাঠান ভোডাফোনেরই রিচার্ড জারভিসের কাছে।