শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১২

হরতাল খুব জরুরী!

হরতাল
হরতাল বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় একটা আন্দোলনের হাতিয়ার! সবাই শুধু এর নেগেটিভ দিকগুলোই দেখে কিন্তু পজিটিভ দিকগুলো কেউ দেখে না। আসুন আমরা হরতালের উপকারীতা সম্পর্কে জানি।
এমনিতেই বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ নাই। তাই বলে শিশু-কিশোররা থেমে থাকেনি। তারা ধানের জমিতে ধান কাটার পর ক্রিকেট খেলে। কিন্তু গত বেশ কিছুদিন ধরে নিয়মিত বৃষ্টিতে সেই সুযোগও হাতছাড়া হয়ে গেল। এখন তারা খেলবে কোথায়?
দেখুন, হরতালের সময় পোলাপাইনে বিশ্বরোডের মাঝখানে ইট বসিয়ে স্টাম্প বানিয়ে ক্রিকেট খেলতে পারবে। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট। নতুন নতুন ক্রিকেটার তৈরী হবে আর করবে বিশ্বজয়!
শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত গরমে যখন আমরা ঘামে হাবুডুবু খাই তখন একটু ফ্যানের বাতাস আমাদের খুব প্রয়োজনীয় হয়ে যায়। হরতালের সময় মিল-কারখানা বন্ধ থাকে তাই বিদ্যুত্‍ থাকবে সারাদিন। সারাদিন ফ্যান, এসি চালু করে দেদারসে আরামে ঘুম যেতে পারব।
শুধুই কি তাই? যানজটে অতিষ্ঠ জনজীবন। বিদেশে দেশের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে অথচ হরতালের সময় কতইনা ফাঁকা থাকে আমাদের রাস্তাঘাট।
টাইপ করতে করতে হাত ব্যথা হয়ে যাবে তবুও হরতালের উপকারীতা বর্ননা করে শেষ করা যাবে না! দেশের ক্রিকেটার বাড়াতে, দেশের ইমেজ বাড়াতে (হরতালের সময় বিদেশী কূটনৈতিককে দেশে আমন্ত্রণ করে আর টিভি চ্যানেলে প্রচার করে, অবশ্যই সরকারের উদ্যেগে) হরতাল আজ বড়ই প্রয়োজন।
আর তাই দেশের নাগরিক হিসেবে বিরোধী দলের প্রতি আমার দাবি, কারণে হোক আর অকারণে হোক প্রতি সপ্তাহে জনস্বার্থে তথা জাতীয়স্বার্থে একটি করে হরতাল দিন।