শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১২

আখিরাতের জীবনের তুলনায় দুনিয়ার জীবন খুবই নগণ্য

দিল্লীর চলন্ত বাসে ২৩ বছরের এক নারীর ধর্ষণের পর যারা অনলাইনে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের অনেকেই বিশেষত তরুণ ভারতীয় নারী/পুরুষেরা একে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে নারাজ। তাদের অনেকেই মন্তব্য করেছেন, এই ঘটনার জন্যে সমাজ ব্যবস্থা, বলিউড, অশ্লীলতা এবং সর্বোপরি যারা এদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে সেই সমাজের বিশেষ শ্রেণী রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, পুলিশ সবাই দায়ী।

আমার মতে যারা নিজেরা বলিউডের অশ্লীল সিনেমা দেখছি, তারাও কি এই দায় থেকে মুক্ত হতে পারব?
সেই ধর্ষক বাস ড্রাইভার, হেলপার এরা যে নারীদেরকে একটা যন্ত্রের মত দেখে এর কারণ কি?
কারা নারীদেরকে একটা sex tool হিসেবে প্রচার করে ?
তাদেরকে আবার কারা সমর্থন করে? আমি আপনি যদি সেই অশ্লীল বলিউডি সিনেমার জাহান্নামের দূতদের প্রতি ভালোবাসা পোষণ করি, তাহলে আমাদের সেই ধর্ষকের দলকেও ভালোবাসা উচিত, ধর্ষিতা নারীর প্রতি কোন সহানুভুতি থাকা উচিত নয়। হাস্যকর লাগলো, অমিতাভের মত লোক ঘৃণা জানিয়েছে, অথচ তারাই দেখায় কীভাবে নারীদেরকে নেংটা করে সিনেমায় আনতে হয় !

চারটি প্রশ্ন প্রত্যেক মানুষকেই করা হবে , এমন এক দিনে আপনাকে সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে যে দিনের দৈর্ঘ্য আমার-আপনার সারা জীবনের চেয়েও বেশি, হাশরের ময়দানে শেষ বিচারের দিনে ৫০,০০০ বছর এর সমান যে দিন সেদিন কে কি উত্তর দিবেন রেডী করে রাখেন। প্রশ্ন করা হবে, আপনি যে অর্থ উপার্জন করেছিলেন তা কি কাজে ব্যয় করেছিলেন? বাসায় ডিশের লাইন টেনে? নাকি ইন্টারনেটে নিষিদ্ধ জিনিস দেখে? নাকি পয়সা খরচ করে সিনেমা দেখে?